ড. ঝর্ণা বনিক: আগরতলাস্থিত পূর্ব ডুকলী নামক গ্রামে ১৯৪৬ খৃষ্টাব্দের ৯ই অক্টোবর রবিবার (আশ্বিন মাস) বাবা-মায়ের দ্বিতীয় সন্তান রূপে জন্মগ্রহণ করেন ঝর্ণা বনিক। বাবা স্বর্গীয় হারাধন বনিক, মাতা স্বর্গীয়া করুণাময়ী বনিক দুইজনই ছিলেন দেবদ্বিজে ভক্তি প্রবণ, শ্রীকৃষ্ণ ভক্ত, শিক্ষানুরাগী, সেবা পরায়ণ মনোবৃত্তি সম্পন্ন। মা-বাবার থেকে প্রাপ্ত গুণ সন্তানের মধ্যে প্রভাবিত হবে তাতে আর আশ্চর্য কি।
ছোট বয়স থেকে ঠাকুরের প্রতি প্রবল ভক্তি-বিশ্বাস, দরিদ্রের প্রতি ভালোবাসা, ও লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল, তা নিয়েই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা ঝর্ণা। বাল্য বয়স থেকেই মানুষের ভূত-ভবিষ্যত, ভাগ্য কি? মানুষের সুখ দুঃখের কারণ কি, কি তার প্রতিকার? এইসব জানার জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ পায় যখন তিনি সপ্তম-অষ্টম শ্রেণীতে পাঠরতা।
বাড়ীর পার্শ্ববর্তী বিদ্যালয়েই শিক্ষার পাঠ শুরু, ষষ্ট শ্রেণি থেকে রামঠাকুর উচ্চ-মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন, মহারাণী তুলসীবতি উচ্চতর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা চলাকালীন মা-বাবার ইচ্ছানুসারে ১৯৮৫ ইং সিদ্ধিআশ্রম শিবপল্লী নিবাসী শ্রী হরগোপাল বনিক এর সাথে সংসার জীবনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। স্বামীর আগ্রহে ও নিজ অনুপ্রেরণায় বিয়ের পর আবার কলেজ জীবন শুরু।
মহিলা মহাবিদ্যালয় থেকে ১৯৮৭ ইং স্নাতক ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। নিজের প্রচলিত শিক্ষা সমাপ্ত করেই স্বামীর সহযোগিতায় বাড়ীতে ১৯৯৬ ইং প্রতিষ্টা করেন কচিকাঁচা শিশুদের সুশিক্ষা দেবার প্রয়াসে 'লক্ষ্মী বাল বিদ্যামন্দির নার্সারী স্কুল' শিশু শিক্ষা, নাচ-গান-তবলা, অঙ্কন, আবৃত্তি ইত্যাদি শেখানো হত। অনেক গুণী-মানী জন থেকে জ্যোতিষ শিক্ষার পাঠ নেন। পরবর্তীসময়ে এই বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন এবং এই গ্রন্থ রচনা করেন- যাঁর প্রেরণাদাতা ড. পান্না সাহা, সম্পাদিকা অ্যাস্ট্রো ক্লাব, অধ্যক্ষা কলেজ অফ অ্যাস্ট্রোলজি।
প্রাপ্তিস্থান
ভাগ্যোদয় প্রকাশনী, সিদ্ধি আশ্রম, শিব পল্লী, রাজভবন আগরতলা, ত্রিপুরা (পশ্চিম)।
মুঠোফোন: ৬৯০৯৪৭৫৪৬৮/৯৪৩৬৪৫৬০৪২
নিউ আগরতলা বুক সেন্টার শিশু উদ্যান বিপণি বিতান, দ্বিতল মার্কেট, রুম নং-৫ আখাউড়া রোড, আগরতলা ত্রিপুরা (পশ্চিম) মুঠোফোন: ৯৭৭৪৫১৯১১৭/৯৩৬৬৬০৪২৫৬
মূল্য: ১৫০ টাকা মাত্র
0 মন্তব্যসমূহ