উত্তম সরকারের কবিতা
নারী তুমি অনন্যা
যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে ছিল
তিনি আমার জন্মদাত্রী মা
যে আমার হাতে রাখি বাঁধে
সে তো আমার ভগিনী,
যার চোখে চোখ রেখে
প্রেমের পরশ পাই,
হাতে হাত রেখে জন্ম জন্মান্তরেও
এক সাথে বাঁচার শপথ করি
সে আমার প্রেমিকা হয়তবা জীবন সঙ্গী ।
নারী তুমি সতী সাবিত্রী বেহুলা
শক্তিদায়িনী,
প্রকৃতি,
অনন্যা ।
ওগো মা বোন স্ত্রীর জাতি
তোমার স্বাতন্ত্র নেই বুঝি !
ক্ষুদিরাম নেতাজী বিবেকানন্দ
একশ একুশ কোটি সন্তানের জননী- জন্মভূমি
রত্ন গর্ভা ভারত মাতা
এদেশের নারীদের করেছ মহিয়সী
নারী দিবসে প্রণাম জানাই শত কোটি
মা তুমি অনন্যা
যে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে ছিল
তিনি আমার জন্মদাত্রী মা
যে আমার হাতে রাখি বাঁধে
সে তো আমার ভগিনী,
যার চোখে চোখ রেখে
প্রেমের পরশ পাই,
হাতে হাত রেখে জন্ম জন্মান্তরেও
এক সাথে বাঁচার শপথ করি
সে আমার প্রেমিকা হয়তবা জীবন সঙ্গী ।
নারী তুমি সতী সাবিত্রী বেহুলা
শক্তিদায়িনী,
প্রকৃতি,
অনন্যা ।
ওগো মা বোন স্ত্রীর জাতি
তোমার স্বাতন্ত্র নেই বুঝি !
ক্ষুদিরাম নেতাজী বিবেকানন্দ
একশ একুশ কোটি সন্তানের জননী- জন্মভূমি
রত্ন গর্ভা ভারত মাতা
এদেশের নারীদের করেছ মহিয়সী
সনাতনী ভারত।।
মুখে হিন্দুত্বের জয়ধ্বনী
অন্তরেতে নাই,
জয় রাম বললেই কি
হিন্দু হওয়া যায় ?
জাতি হিন্দু তবু
কর্মেতে নাইবা পাই,
বসতভিঠে হারালে
তখন বুঝবে ভাই।
হিন্দুত্ব মোদের গর্ব
নি :সন্দেহে বলতে চাই,
জাগো এবার কুম্ভকর্ণ ।
করতে হবে লড়াই ।
জন্ম ভূমির তরে
মরণ পন চাই,
হিংসা বিদ্বেষের কথা
চলো ভুলে যাই।
হে মোদের হিন্দু ভাই
রক্ষা কর সনাতন ধর্ম,
পিতার কাজটি করগো
যেন না কাঁদে প্রজন্ম ।
চাই চাই চাই
রত্নগর্ভা ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র চাই
নিজের ঘরে পরবাসী
থাকা বড়ই দায় ।
জয়ের তিলক দাও কপালে
হিন্দুরা ডাক দিয়েছে,
অযোধ্যার রাম মন্দিরে
বিজয় কেতন উড়ছে ।
প্রেম
পরম প্রেমময়কে ভালবেসে
কেউই ব্যর্থ হয়নি
পশুরাও প্রেমের ইশারা বুঝে
ভালবাসার ছোঁয়া অনুভব করতে পারে।
মানুষে মানুষে ভালবাসার
হাজার অশ্রুর সাক্ষী হয়েছি
রক্তাক্ত প্রেমিকের লাশও দেখেছি
ভেলেন্টাইন দিবসে
আত্মঘাতী শত শত।
প্রেম কখনো ব্যর্থ হয়না
অগ্নি দগ্ধা হয়নি
আমরা তো জীব শ্রেষ্ঠ
তবে কেন প্রেমেতে
বার বার ব্যর্থ?
কাঁদি অবিরত
প্রেম তো চিরন্তন
অবিনশ্বর
তবু বলি
ভালবাসা দিবস
তুমি দীর্ঘজীবী হও ।
পিতৃ দেবতা
বাংলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা
মশাউড়া গ্রাম তিতাস নদীর তীরে
তোমার জন্মভিটে আজও
কাঁদে আঁখি ভরে ।
উদবাস্তু হয়ে সপরিবারে
এসে ছিলে ত্রিপুরায়
সুখের নীড় গড়লে
কৃষ্ণ পুর সবুজ গায় ।
জন্মের তিন মাস পরে
হারিয়ে ছিলে নিজ জননীরে
অভাব অনটন আঘাত শুধু
প্রাপ্তি তোমার জীবন ভরে।
অসীম সাহসী আর
তেজস্বী ছিলে তুমি
সহজ সরল সততায়
চির গর্বিত আমি ।
তুমিই দেখিয়ে ছিলে
সুন্দর বিশ্বভুবন,
জনক রূপে পেলাম তোমায়
ধন্য মোদের জীবন।
৩০শে জুন ২০২০
উল্টো রথের প্রভাতে,
পাড়ি দিলে তুমি
না ফেরার দেশেতে ।
আত্মাজা
শিশু কাল কাটে
পিতা মাতার অধীনে
যৌবন খানি চলে যায়
স্বামী সন্তান প্রতিপালনে ।
বৃদ্ধ কালে কাটাতে হয়
ছেলে বউয়ের কাছে ,
স্বাতন্ত্র নেই মায়ের জাতির
কন্যা সতী মাতৃ রূপে বাঁচে ।
পনের জন্য মরে সতী
অগ্নি দগ্ধ হয়ে,
ভ্রুনে হত্যা কন্যা সন্তান
ঘটছে সদা প্রযুক্তির দায়ে !
অর্ধেক আকাশ অর্ধেক জমি
নারীর জন্য লেখা,
নারীরা আজ নয়কো নারী
যেন বক্রি শিখা!
0 মন্তব্যসমূহ