ড: ঝর্না বণিকের কবিতা
চন্দ্রা
হে "চন্দ্রা'
বিরল তোমার মুখের খানি,
আমার ভবন মাঝে,
বিরল তোমার কর্মখানি
নিত্য আছো
আপন কলা কাজে,
ঘরে তোমার কণ্ঠোধনি-
আকুল হৃদয় ভরে -
বাইরে তোমার কর্ম জগৎ
বিশ্ব যেনো ডাকে,
সর্ব শেষ কথা আমার
আছে তোমার তরে,
সদা তোমার হৃদয় মাঝে,
রঙের ঢালি সাজে,
তোমার নাহি সকাল
নাহি বিকাল,
কৌশল ভরা জীবন,
তাইতো তুমি পাবে জানো,
মেয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ আসন,
মেয়ে হয়ে এসেছিলে
এই পৃথিবী হতে,
ঝড়ের মতো চলো তুমি
অবাধ জন স্রোতে।
বিশ্ব ব্যাপী চলো তুমি
আপন কর্ম নিয়ে,
সেই প্রাণ নাচিবে ভুবনে
ছন্দে তালে লয়ে,
যশ কীর্তি -
দিগ বিজয়ে।
কে তুমি?
দুঃখের আঁধারে
চিনলাম আপনারে,
তুমি এসেছিলে
আমার দ্বারে-
আঘাতে আঘাতে
বেদনায় বেদনায়,
ভালোবেসেছিলাম তোমায়
প্রথম দিনের পরিচয়ে,
প্রশ্ন করে ছিলাম
কে তুমি?
মিথ্যা মায়ার ফাঁদ
পেতেছ তুমি,
আমার সরল মনে,
পূর্ণ বিচ্ছেদ হয়েছে যবে,
আমি ভাবিনি মনে,
এমনি দিনে কতবার
মোরে দিয়েছিলে কথা,
রিমি ঝিমি বর্ষণে,
আমায় দেবেনা ব্যাথা,
দুঃখের সুর বাজিছে
হৃদয়ে, হৃদয়ে,
"ভাবনার ভূনে
কোথায় চলে যাই
আন মনে" ।
বাবা
বাবা মানে জন্ম দাতা
বাবা দিয়েই পরিচয়,
সুখে দুঃখে -
বয়ে যাওয়া
বাবার দ্বারাই হয়,
যেদিন আমি ছোট ছিলাম
বুঝতাম না কোনো কিছু -
পৃথিবীটাকে প্রথম দেখা
বাবার সেরা পরিচয়,
বাবা মানে গুরু
বাবার কারণে পথ চলা
জীবন হয় শুরু,
বাবা মানে জীবনে
সুখ দুঃখের সাথী,
বাবা মানে "বন্ধু"
বাবা ছাড়া জীবন অচল
বাবার আশীর্বাদেই
খারাপ সময় হয় সচল।।
ভারত ও বাংলা
১৯৭১ সালে বাংলা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে,
ভারতবর্ষ করেছিল ঘনিষ্ঠ
মিত্র সম্পর্ক।
হে বাংলা সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক সম্পর্ক,
তোমার সাথে
ভারত ও বাংলা একই বৃন্তে
দুটি দেশ।
এপার ওপার
অতীত-বর্তমান-ভবিষৎ,
চিরদিনই ভারত-বাংলা মিত্র রূপে,
প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি একই মনে
এক প্রাণে ভারত - বাংলা দেশ
তোমরা থাকবে চিরদিন পাশে পাশে।
মৈত্রী সম্পর্ক কাকে বলে?
বন্ধু বলে ডাকো যারে,
ভারত বাংলা থাকবে পাশে,
বন্ধুত্ব যেন অটুট থাকে,
গঙ্গা, যমুনা, হাওড়া, পদ্মা,
মেঘনা সুখের নদী,
হয়না যেন দুঃখের বারুদী।
ভারত বলে: বিপদে দিও বন্ধু
বাংলা তুমি ডাক,
হাতে হাত মিলিয়ে জাগবো- তোমার জন্য সারা রাত।
ভারত বাংলা মৈত্রী মানে-
কেউ কাউকে অবহেলা নয়।
একে অপরকে আপন
করে নিতে হয়।
ভারত বাংলা সুখের সাথী-
দুঃখের সাথী ।
মিত্র তুমি থাকলে পাশে
থাকব মোরা মিলে মিশে,
হাসি কান্না যতই আসে
স্বপ্ন কল্পনা অনুভব।
অনুভব-ভালোবাসার তৈরি হয়,
ভারত - বাংলা মৈত্রীর
সম্পর্ক থেকে।
মা
জন্ম আমার সার্থক হলো
মা ডাকতে পেরে,
মা কথাটি স্বর্গ সমান
ফুলের সুবাস সম্ ,
জন্মদাত্রী মা যে তুমি
তার উপরে নাই,
জগৎ জননী মা যে তুমি
প্রকাশ না পায় ভাষায়।
জীবনময়ী হলাম আমি
তোমার স্নেহ মায়ায়,
মাগো তোমার আশীষ থাকে যদি,
সম্মান পাবো এই দুনিয়ায়।
0 মন্তব্যসমূহ